প্রথম ডেটে যাবেন! বা সামনে পূজো, আর মাত্র ২-৩ দিন। দেখলেন গালে ২-৩ টা ব্রণ (Pimple/Acne) বেরিয়েছে। ব্যাস সমস্ত আশা আকাঙ্খা শেষ। প্রথম ডেট বা পূজো অনেক প্রস্তুতি থাকে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই। তার জন্য রীতিমতো একপ্রস্ত শপিং হয়ে গেছে। একটা ব্যাকলেস পিঙ্ক গাউন পরবে বলে ঠিক করে রেখেছেন। আবার ছেলে হলে জিন্স-টিশার্ট কিনে রেখেছেন। আবার পুজোতে ষষ্ঠী-দশমী পর্যন্ত আলাদা আলাদা ড্রেসের প্ল্যান। কিন্তু এত দিনের প্রস্তুতিতে জল ঢেলে দিল এই ব্রণ (Acne/ Pimple)। তার পর থেকে তো ঘুম উড়েছে কি করে যাবে এই ব্রণ। ব্রণ (Pimple/ Acne) তো তাও দু’দিনে সেরে গেলেও দাগ তো থেকেই যাবে। এই অবস্থায় রীতিমতো কান্না পেয়ে যায়। এখন কার কাছে যাবেন? মনে মনে ভাবছেন যে, আপনার ভাগ্যটাই খারাপ!
এই রকম প্রায় প্রত্যেক ছেলে- মেয়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছে। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধির পর বা ১৩-২১ বছর এর মধ্যে শুরু হয় এই সমস্যাটা। এক-এক জনের তো মুখের প্রায় গোটা স্কিনই ব্রণতে ভরে ওঠে। ফলে স্কিন আরও খারাপ হয়ে যায়, এবং সারা মুখে দাগ এ ভর্তি হয়ে যায়। আর স্বাভাবিক জৌলুসও অনায়াসে হারিয়ে ফেলে স্কিন! তাই যেটা করতে হবে, সেটা হল- বারবার ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করতে হবে। তাই সবার আগে জেনে নিতে হবে, ব্রণ (Causes of Pimple or Acne) কেন হয়।
আজ আমরা জানবো ব্রণ হওয়ার কারন (Causes of Acne or Pimple) এবং ঘরোয়া ভাবে প্রতিকার বা চিকিৎসা (Treatment of Acne or Pimple Home Remedies)
ব্রণ হওয়ার কারন গুলো কি কি (Causes of Acne or Pimple):
১.শারীরিক হরমোনঘটিত সমস্যা (Causes of Acne or Pimple)
অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডসের সময় মুখে ব্রণ হয়েছে। আবার পিরিয়ডস শেষ হলে সেটা দিব্যি গায়েব! তা হলে বুঝতে হবে যে, দেহে হরমোনের সমস্যা রয়েছে। আর তার জন্যই ব্রণর (Acne/ Pimple) মতো সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা টা শুধু মাত্র মেয়দের না, ছেলেদের ক্ষেত্রেও হরমোনের সমস্যা হয়।
২.ঘুমের সমস্যা (Causes of Acne or Pimple)
স্ট্রেস ও ঘুমের সমস্যাও কিন্তু ব্রণ হওয়ার বড় কারণ। ঘুমের সমস্যা শুধুমাত্র ব্রণ না, শারীরিক অনেক সমস্যার জন্য দায়ী। তাই সব সময় টেনশন ফ্রি ও স্ট্রেস ফ্রি থাকতে হবে, বা থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা করে ঘুম প্রয়োজন। না হলে ব্রণ (Acne/ Pimple) হওয়ার চান্স থেকেই যায়।
৩. অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার (Causes of Acne or Pimple)
আপনি কি জাঙ্কফুড, ফাস্টফুড বা খুব বেশি ভাজাভুজি খেতে পছন্দ করেন? তা হলে মুশকিল। ব্রণ (Acne/ Pimple) ঘুরে-ফিরে আসবেই। তাই যতটা সম্ভব এই ধরনের তৈলাক্ত খাবার-ভাজাভুজি-তেলেভাজা এড়িয়ে চলুন।
৪. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় (Causes of Pimple or Acne)
লক্ষ্য রাখতে হবে, জামাকাপড়ের থেকে ব্রণ হচ্ছে কি না। লক্ষ্য রাখতে হবে মেটেরিয়াল এর দিকে। অনেক সময় সিন্থেটিক জামাকাপড় পরার জন্য ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। তা হলে সিন্থেটিক জামা-কাপড় পরা বন্ধ করতে হবে।আবার অন্য দিকে ময়লা তোয়ালা, গামছা অথবা ময়লা বালিশের কভার থেকেও ব্রণ (Acne/ Pimples) হতে পারে। তাই কয়েক দিন অন্তরই ভালো ভাবে পরিস্কার করতে হবে। এবং কয়েকমাস অন্তর বদলাতে হবে সেগুলো।
Read More: All About Paracetamol
৫. বার বার মুখ ধোয়া (Causes of Acne or Pimple)
আপনি কি অতিরিক্তি মুখ ধুচ্ছেন ফেস ওয়াশ দিয়ে? তা হলে সেটা এখনই বন্ধ করুন। কারণ এটাও ব্রণর অন্যতম প্রধান কারণ! ত্বক পরিষ্কার থাকলে ব্রণ (Acne/ Pimple) হবে না ভেবে অনেকেই কিছুক্ষণ পর পর মুখ ধুয়ে থাকেন। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। এবং তখন ত্বকে আরও বেশি তেল উৎপাদন হয়ে ব্রণ শুরু হয়। তাই নিয়ম করে মুখ পরিষ্কার করুন। সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকে দিনে চার বার মুখ ধোবেন সাধারন ঠান্ডা জল দিয়ে। আর শুষ্ক ত্বকে অন্তত দু’বার করে মুখ ধোবেন। যদি আপনার এলাকার পরিবেশ খুব দূষণ সে ক্ষেত্রে দিনে দু-বার ফেস ওয়াশ ব্যাবহার করতে পারেন, নাহলে ১বার।
৬.পরিবেশ দূষণ (Causes of Pimple or Acne)
রোজ আপনাকে এখানে সেখানে বেরোতে হয়। আর চার দিকে ধুলো-বালি, ময়লার দাপট। যত দিন যাচ্ছে, দূষণের মাত্রাও খুব বাড়ছে। যা শরীররের পক্ষে তো বটেই, তাছাড়া স্কিন-চুলের পক্ষেও খুবই ক্ষতিকর। আর দূষণও ব্রণ (Pimple/ Acne) হওয়ার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আসলে ভিটামিন-ই ত্বককে বাইরের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। তবে বায়ুদূষণ, পরিবেশ দূষণ সেই ভিটামিন-ই নষ্ট করে দেয়। ফলে স্কিনের খুব ক্ষতি হয়।
Read More: Lung Cancer Treatment
৭.অতিরিক্ত মেকআপ (Causes of Pimple or Acne)
অতিরিক্ত প্রসাধনী বা মেকআপ কস্মেটিক্স ব্যবহার ব্রণ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। কারণ এর মধ্যে ক্ষতিকর কিছু কেমিক্যালস থাকে। তাই কসমেটিক্স যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই শরীরের পক্ষে ভালো। আর ব্যাবহার করলেও ভাল কোম্পানির যেন হয়, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখুন। আর শুধু কি তা-ই! মেকআপ সরঞ্জামও ব্রণ হওয়ার একটা কারণ। তাই মনে করে দেখুন, শেষ কবে আপনি মেকআপ ব্রাশ ও স্পঞ্জ পরিষ্কার করেছেন? আপনি যখন যা-ই আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন না কেন, তা অবশ্যই পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। মেকআপের সরঞ্জামগুলো বারবার ব্যবহার করার ফলে এতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা থেকে ব্রণ হয়। তাই মেকআপ সরঞ্জাম সব সময় পরিষ্কার রাখুন এবং ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন। আর একটি বিষয়ে নজর দেওয়া খুবই দরকার। সেটি হল কস্মেটিক্স সরঞ্জাম গুলো অবশ্যই ব্যাক্তিগত ভাবে ব্যাবহার করতে হবে।
৮. বিভিন্ন হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যাবহার (Causes of Acne or Pimple)
চুলের যত্নের জন্য ব্যবহৃত প্রোডাক্ট গুলো কিন্তু ব্রণর সমস্যার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। কিছু কিছু হেয়ার প্রোডাক্টসে সিলিকন ও তেল থাকে। যার কারণে দেহের লোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং ত্বকে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা রোধ করার জন্য ওই হেয়ার প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার না করাই ভাল।
৯.অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যাবহার (Causes of Pimple or Acne)
কারণ স্মার্টফোনের গায়ে অনেক নোংরা, জীবানু ও ব্যাকটেরিয়া লেগেই থাকে। সেই স্মার্টফোন কানে নিয়ে কথা বলার সময়, ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু সরাসরি আমাদের মুখের ত্বকে চলে আসে। তাই স্মার্টফোন পরিস্কার রাখাও খুব দরকার।
১০. শরীরে জলের অভাব (Causes of Pimple or Acne)
সারাদিন প্রচুর পরিমানে জল খেতে হবে, কমপক্ষে ৫-৬ লিটার। হজমের গোলমালের জন্যেও অনেকসময় ব্রনর সমস্যা দেখা দেয়। তাই অতিরিক্ত পরিমানে তেলমশলা দেওয়া খাবার নয়, সেদ্ধ জাতীয় খাবার খেতে হবে। এতে আপনার লিভারও ভালো থাকবে। আর হজমের সমস্যাও অনেক কমে যাবে।
১১. অতিরিক্ত কিছু সতর্কতা অবলম্বন (Causes of Acne or Pimple)
আপনি যদি রোজ বা ২-৩ দিন অন্তর দাড়ি কামান, তাহলে অবশ্যই বাড়িতে ব্লেড ও রেজার এর সাহয্যে কাটুন। সেলুন যাবেন না, সেলুনে সেরকম পরিস্কার থাকে না সব কিছু। এছাড়া একবার ব্যাবহার যোগ্য ব্লেড ব্যাবহার করুন। বর্তমানে উন্নতমানের ইলেক্ট্রিক রেজার বেরিয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ব্রন হলে একেবারেই তা নখ দিয়ে খোঁটা চলবে না। বা সারাক্ষণ তাতে হাত দিলেও ব্রন বেড়ে যাওায়র সম্ভাবনা থাকে। ব্রন খুঁটলে তার দাগ চিরকালের জন্য আপনার ত্বকে থেকে যেতে পারে, বা ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। এবং তার থেকে বড়রকম রোগ তথা ক্যান্সার হতেও পারে।
এ সব তো গেল ব্রণ (Pimple/ Acne) হওয়ার সাম্ভাব্য সব কারণ এবং সতর্কতা। এগুলো এড়িয়ে চললেও অনেক সময় ব্রণ হয়ই। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়, কি করবেন। পার্লারে গিয়ে অথবা মেকআপ করেও ঢাকা যায় না ব্রণ অথবা ব্রণর দাগ।
তবে কিছু ঘরোয়া টোটকা তথা প্রতিকার এর ব্যাবহার এ রুখে দেওয়া যায় ব্রণর (Pimple/ Acne) সমস্যা।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করবেন কী ভাবে? (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
বাজারচলতি রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারে ব্রণর দাগ মিটলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা সাইড এফেক্ট হয়। তাই বিকল্প হিসেবে দেওয়া হল কিছু ঘরোয়া টিপস, চোখ বুলিয়ে নিন তাতে।
১. নারকেল তেল (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
হাতের কাছে নারকেল তেল এক মহৌষধ বলতে পারেন। পুড়ে গেলেন, ছ্যাকা লেগে গেছে, পেটে ব্যাথা সবই কাজে লাগে। এছাড়া চুলের মতোই ত্বকের যে কোনও সমস্যায় কাজে লাগে নারকেল তেল। দাগ হালকা করার পাশাপাশি নারকেল তেল ত্বকের সুরক্ষা ব্যবস্থাও মজবুত রাখে। স্কিন নরম থাকে। রাতে শোওয়ার আগে এক চা-চামচ নারকেল তেল নিয়ে হাতের তালুতে ঘষে একটু গরম করে নিন। এবার ব্রণর দাগের উপর তেলটা লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। প্রতি রাতে করতে পারলে দাগ কমতে বাধ্য হবেই। তবে যাঁদের ত্বক খুব তেলতেলে, তাঁরা নারকেল তেল ব্যবহার করবেন না।
২. অ্যালোভেরা জেল (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
অ্যালোভেরা গাছ নেই এরকম বাড়ি এখনকার দিনে খুঁজে পাওয়া খুব মুস্কিল। প্রায় সকল বাড়িতেই দেখতে পাওয়া যায়। ক্ষত সারানোর এক আশ্চর্য গুণ রয়েছে অ্যালো ভেরার মধ্যে। আগুনে পুড়ে যাওয়া এবং চুলের জন্যেও খুব উপকারী। তা ছাড়া ব্রণর উৎপাত কমাতেও অ্যালো ভেরা খুবই কার্যকর। এক চা-চামচ অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। একটানা ১৫ দিন করুন তার পর দেখুন ফলাফল।
৩.আলু (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
আলু তো স্কিনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে ব্রণর সমস্যা ও জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে খুবই কার্যকর। আর তার সঙ্গে স্কিনে একটা ন্যাচারাল গ্লো-ও এনে দেয় আলু। আলু চাকা চাকা করে পাতলা পাতলা কেটে ফেলুন এ বার স্লাইস গুলো নিয়ে মুখে মাসাজ করতে বা ঘসতে থাকুন। তবে মুখের আলাদা আলাদা অংশে আলাদা আলাদা স্লাইস ব্যবহার করতে হবে। না হলে কিন্তু ব্যাকটেরিয়া ছড়াবে।
৪.পেঁপে (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
স্কিনের জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য পেঁপে তো খুবই উপকারী। এছাড়া পেঁপে হজমের খুবই সাহায্য করে। এবং বিশেষ করে ব্রণ দূর করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আয়ুর্বেদিক বা ঘরোয়া উপাদান। পেঁপের পেস্ট আপনার মুখের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনবেই আনবে। ব্রণ ও ব্রণর দাগও দূর করবে। প্রথমে মুখটা পরিষ্কার করে নিন ঠান্ডা জল দিয়ে। তার পর পরিষ্কার-নরম তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে শুকনো করে নিন। এ বার পেঁপের ওই পেস্ট মুখে লাগিয়ে নিন। ওই পেস্ট মাস্ক ২০-২৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। রোজ এই রুটিন ফলো করলে ব্রণর সমস্যা দূর হবে ১৫-২০ দিনই।
৫. কমলালেবু এবং তার খোসা (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
কমলালেবু তো খেলেন, কমলালেবুর খোসাটা ফেলবেন না। লেবুতে ভিটামিন- সি আছে আর খোসা তে মহৌষধ। কারণ ওর মধ্যেই রয়েছে দাগহীন উজ্জ্বল ত্বকের আসল চাবিকাঠি। কমলালেবুর খোসা প্রথমে রোদে শুকিয়ে নিন, তারপরে গ্রাইন্ডারে বা শিলে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার এক চা-চামচ মধু আর এক চা-চামচ খোসার গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটা ব্রণ আর ব্রণর দাগের উপর ভালো করে লাগিয়ে নিন। শুকোনোর পর ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন-চারবার করে করতে পারলে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফল দেখতে পাবেন।
এছাড়া লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ব্রণর সমস্যা রুখতে দারুণ উপাদান। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ব্রণতে লাগিয়ে রাখুন। এটা শুধু আপনার ব্রণ দূর করবে না, তার পাশাপাশি আপনার স্কিনকে পরিষ্কারও রাখবে।
৬. নিম পাতা (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
নিম পাতাও খুবই জনপ্রিয় আয়ুর্বেদিক উপাদান, শরীরের অনেক কাজে লাগে। এন্টিব্যাক্টিরিয়া এবং বিশেষ করে ব্রণর ট্রিটমেন্টে তো খুবই ভাল। ১০টার মতো নিম পাতা নিন। এ বার সেগুলোকে ফুটিয়ে বেটে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। সেই পেস্ট ব্রণর জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন।
৭. মধু (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
স্কিন আর চুলের যত্নে মধুর গুরুত্ব তো আপনারা জানেনই। এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। একটা ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপাদান। আর ব্রণ এবং ব্রণর দাগ দূর করতে তো মধুর মতো কিছুই নেই। তাই কয়েক ফোঁটা মধু ব্রণ আর ব্রণর দাগের উপর মাসাজ করুন। ৫-১০ মিনিট পরে তা ধুয়ে ফেলুন। এটা রোজ করলে খুব তাড়াতাড়ি ভাল ফল পাবেন।
৮. আমলকি (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
আমলকি আমাদের স্কিন-চুল উভয়ের জন্যই দারুণ। যে সব ব্যাকটেরিয়ার কারণে ব্রণ হয়, সেগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম আমলকি। এলার্জি ক্ষেত্রেও খুব উপকারি আর দাগও দূর করতে পারে। তাই আমলকি দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এ বার সেটা আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
৯. লাউ (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
স্বাস্থ্যের যত্নে লাউ এবং শসা তো বিশেষ উপকারী সবজি। কারণ এর মধ্যে রয়েছে হাই-ওয়াটার কন্টেন্ট, প্রচুর জলীয় অংশ। যা আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, স্কিনেরও যত্ন করে। এটা আপনার বডি সিস্টেমকে পরিষ্কার রাখে। ব্রণর সমস্যা রোধ করে। আপনাকে মসৃণ ও সুন্দর ত্বক দেয়। একটা লাউ নিন। এ বার লাউয়ের বাইরের খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এ বার ছোট ছোট টুকরো করে লাউটা কেটে নিন। একটা ব্লেন্ডারে দিয়ে রসটা বার করে নিন। তার মধ্যে এক চিমটি নুন মিশিয়ে পান করুন।
১০. ত্রিফলা (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
ত্রিফলাও স্কিনের জন্য অত্যন্ত উপকারী আয়ুর্বেদিক উপাদান। পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। আসলে এটা আপনার পুরো শরীরকে ডিটক্স করার ক্ষমতা রাখে। শরীরের মধ্যে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। খারাপ জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে এবং ব্রণর সমস্যা রুখে দেয়। গরম জলে এক চা-চামচ ত্রিফলা গুলে নিন। প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে ওই ত্রিফলার জল পান করুন।
১১. পেয়ারা পাতা-আম পাতা (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
ভাবছেন, পেয়ারা পাতা আর আম পাতা দিয়ে কী হবে? আসলে কিন্তু এই দুই পাতা আপনার স্কিনের পক্ষে খুবই ভাল। কী ভাবে? আম আর পেয়ারা পাতা আপনার স্কিনে ব্রণর দাগ সারিয়ে তোলে। তা ছাড়াও স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে, মরা বা মৃত কোষ গুলো কে দূর করে। ২-৩টে আম পাতা আর পেয়ারা পাতা নিয়ে নিন। এ বার পাতাগুলি ব্লেন্ডারে দিয়ে বা শিলে বেটে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এ বার মুখে লাগিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টামতো। তার পর ওই পেস্ট মাস্ক ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন মুখ ভাল করে মুছে ফেলুন।
১২. তুলসি (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
প্রাচীন কালে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তুলসি হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর যে কোনও সমস্যায় এর গুণাগুণ তো আমরা ছোট থেকে শুনে শুনে বড় হয়েছি। ব্রণর সঙ্গে লড়তে এর জুড়ি মেলা ভার। এক কাজ করতে পারেন, কয়েকটা কাচা তুলসি পাতা নিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে বেটে রসটা বার করে নিন। এ বার তুলসি পাতার ওই রসটা ব্রণর জায়গায় মাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১৩. হলুদ (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
হলুদ হল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি-ফাংগাল আয়ুর্বেদিক উপাদান। শুধু তা-ই নয়, এটা অ্যান্টি-অ্যালার্জিকও বটে! ত্বকের যে কোনও সমস্যায় হলুদের ব্যবহার সেই প্রাচীন যুগ থেকেই চলে আসছে। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডান্ট আর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের ক্ষত আর দাগ কমাতে খুবই কার্যকর। আপনার স্কিন থেকে বিষাক্ত ও দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি মুখে লাগিয়ে রাখুন। আর যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁরা ওই পেস্ট বানানোর জন্য জলের বদলে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এছাড়া কাচা হলুদ ব্যাবহার করতে পারেন ও খেতে পারেন।
১৪.ধনে পাতা-দারুচিনি (Treatment of Acne or Pimple in Home Remedies)
ধনেপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান। যা ব্রণ প্রতিরোধ করে। এক গোছা ধনে পাতা নিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে রস করে নিন। এ বার তার মধ্যে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে একটা পরিষ্কার জারে ভরে রেখে দিন। প্রতিদিন দু’বার এক চা-চামচ করে ওই মিশ্রণ পান করুন।
Source: Google, Wikipedia, and WHO
==========
Thanks for reading this article. If you have any information related to this article and blog, you can comment or visit the contact us page.
You can also visit the Competitive Exams-related Blog: Learn For Exam
==========
Thanks for all of ideas 💝
Good medical