গাঁটের ব্যাথা বা বাতের ব্য়থায় (Arthritis problem in Bengali) ভুগছেন না এমন মানুষ বর্তমানে দেখা যায় না। গাঁটের ব্যথা বা বাতের ব্যাথার কারণেই হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন অধিকাংশ মানুষ। একেই আর্থারাইটিস (Arthritis in Bengali) বলা হয়। একটা সময় ছিল আজ থেকে ১৫ বছর পিছিয়ে গেলে তখন ঠাকুমারা উবু হয়ে বসে রান্না করতেন, ঘর মুছতেন, আছড়ে -আছড়ে কাপড় কাচতেন ৷ তখনকার দিনে ডাইনিং টেবিলের পাঠ ছিল না ৷ বাড়িশুদ্ধ মানুষ মাটিতে বসে খাওয়া-দাওয়া করতেন ৷ পড়াশোনাও হত মাটিতে বা খাটে ৷ এই ধরনের জীবনযাপনের ফলে তাঁদের শরীরের নমনীয়তা ছিল দেখার মতো ৷ হাঁটু–কোমর বা কনুই ব্যথা বা আর্থারাইটিস (Symptoms of Arthritis in Bengali) শরীরের ত্রিসীমানায় আসত না ৷ আর যদিও এটা দেখা যেত সেটা বাড়ির দাদু ঠাকুমার মধ্যে (Arthritis Symptoms in Bengali)। যাদের বয়স ৭০ বছরের উর্ধে তাও সেটা কি না ৩-৫ শতাংশ সারা দেশে। কিন্তু বর্তমানে সারা দেশে ৫৩% মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। ৩৫-৪০ এর দোরগোড়ায় পৌঁছনো মাত্রই হাঁটুর ব্যথায় কাতর হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কষ্টদায়ক এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নেই কোনো ওষুধ (Arthritis medicine in Bengali)। নেই কোনো এই রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসা (Arthritis treatment in Bengali)। মূলত সবচেয়ে মহিলাদেরই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
আর্থারাইটিস নিয়ে কিছু কথা:
পশ্চিমী জীবনধারার প্রভাবে যত আমাদের দেশি ঘরে গ্যাস–মাইক্রোওভেন, খাওয়ার টেবিল, পড়ার চেয়ার, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদির রমরমা শুরু হল। এবং তত নমনীয়তা কমল শরীরের বাড়ল ব্যথা–বেদনার প্রকোপ (Symptoms of Arthritis in Bengali) ৷ মানুষ তথা যে কোনও জীবজন্তুর শরীরের পেশি এবং পেশি সন্ধি এমন ভাবে তৈরি, যাতে সে ছুটে-দৌড়ে-লাফিয়ে–ঝাঁপিয়ে, প্রবল কায়িক শ্রম করে তার জীবিকা নির্বাহ করতে পারে ৷ কিন্তু আজকের জীবনে সে সব করার মতো পরিস্থিতি নেই আমার আপনার মধ্যে ৷ ফলে শুধু যে পেশি সন্ধি–পেশির কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে তা নয়, বড় বড় ক্ষতিও হচ্ছে (Arthritis Symptoms in Bengali) ৷ হাঁটুর কথাই ধরুন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত যার ঘোরার কথা। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রনির্ভর জীবনের কারণে ৯০ ডিগ্রির বেশি তাকে কখনওই ঘুরতেও হচ্ছে না ৷ ফলে প্রকৃতির নিয়মানুসারে তার ক্ষয় হচ্ছে এবং কার্যক্ষম হারিয়ে ফেলছে ৷ হাঁটুর ভালো চাইলে তাকে কাজ করান বেশি, সাফ কথা অস্থিবিশেষজ্ঞদের (Arthritis treatment in Bengali)।
গাঁটের ব্যাথা বা বাত (আর্থারাইটিস) কি ও কেন হয় – (What is Arthritis in Bengali)
সাধারণ মানুষের সহজ ভাষায় বাত বা গাঁটের ব্যাথা হল হাড়ের জোড়ের বিভিন্ন প্রকারের ব্যথা বা রোগ । যা স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে । পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের ওঠাবসা অনেক বেশি হয় । যে কারণে মূলত ভারতে মহিলারাই আর্থারাইটিসে (Arthritis in Bengali) ভোগেন । আমাদের শরীরের প্রতিটি সন্ধিতে বা জয়েন্ট এ আছে সাইনোভিয়াল ফ্লুয়িড নামের এক প্রকার তরল। যে জয়েন্টের অন্যতম প্রধান উপাদান এবং কার্টিলেজকে পুষ্টি জোগায় ৷ সন্ধি বা জয়েন্ট পুরোপুরি সচল না থাকলে তার উপর যতটা চাপ এসে পড়ার কথা, তা না পড়লে এই তরলের পরিমাণ কমতে থাকে ৷ আর্টিকুলার কার্টিলেজ নষ্ট হতে থাকে।
এবং অবশেষে শুরু হয় সন্ধির বা জয়েন্টের ক্ষয় ৷ তখন পা ভাঁজ করার সময় দুটি হাড়ের মাঝে ঘর্ষণ হয়, শরীরের ভার নিতে পারে না । যার ফলে ব্যথা হতে শুরু করে আর্থারাইটিস (Arthritis problem in Bengali) এর সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই হাঁটু বা কনুই যখন ১৮০ ডিগ্রির বদলে মোটে ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরাফেরা করা শুরু করে। সঠিক কথা হল এই যে, এই রোগ সামাজিক-অর্থনৈতিক উদ্বেগগুলির একটি প্রধান হয়ে উঠেছে। কারণ এই কুখ্যাত রোগ মানুষের চলা-ফেরাতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। কারোর ক্ষেত্রে হাঁটুর কাছ থেকে পা বেঁকে যেতে দেখা যায়।
অনেক রকমের আর্থারাইটিস আছে, প্রায় ১০০ রকমের রোগ কে এই আর্থারাইটিস মধ্যে ফেলা হয়।
তাদের মধ্যে কিছু প্রধান প্রধান আছে যেমন-
১. সন্ধিবাত/ গাঁট – ফোলানো বাত (Rheumatoid Arthritis)
২. মেরুদণ্ড প্রদাহ বা স্পন্ডিলাইটিস (Spondylitis)
৩. অস্থিসংযোগ গ্রন্থি প্রদাহ বা অষ্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)
৪. আম বাত /আর্টিকেরিয়া /এলার্জি (Urticaria)। (এলার্জি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন পোস্ট টি দেখে নিন।)
৫. কটিবাত বা কোমর প্রদাহ (Lumbago)
৬. সংক্রামক বাত (Septic Arthritis)
৭. বাতজ্বর (Rheumatic Fever)
৮. গেঁটে বাত (Gout)
৯. সায়াটিকা/কোটি স্নায়ুশূল (Sciatica)
১০. ঘাড়ের বাত(Stiff Neck)
১১. পার্শ্ববাত (Pleurodynia)
১২. স্কন্ধবাত (Omalgia)
বাত বা গাঁটে ব্যাথার (আর্থারাইটিস) লক্ষ্মণ বা উপসর্গ – (Symptoms of Arthritis in Bengali)
গাঁটের ব্যাথা বা বাতের ব্যাথা সাধারণত হাড়ের জোড়, হাঁটু, কনুই, ইত্যাদি যায়গায় ব্যাথা এবং প্রদাহ হয়। এটি একটি অটো-ইমিউন পরিস্থিতি যেখানে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজস্ব কোষ এবং বিভিন্ন উপাদান নিজেই ধ্বংস করতে শুরু করে।
কিছু সাধারন লক্ষ্মণ বা উপসর্গ (Arthritis Symptoms in Bengali):
১. হাটতে অক্ষমতা এবং হাঁটুতে ব্যাথা।
২. ওজন কমে যাওয়া
৩. হাড়ের জোড় শক্ত এবং স্পর্শকাতর।
৪. অতিরিক্ত ব্যথা এবং ফোলা (প্রদাহ)।
৫. রক্তাল্পতা (শরীরে লোহার মাত্রা কম)।
৬. ব্যথার জায়গা গরম হয়ে যাওয়া।
৭. জোড়ের আশে পাশে ফুলে যাওয়া।
৮. সকালবেলা টয়লেট বা শয্যাত্যাগের ঠিক পরেই জোড়ে এবং পেশীতে ব্যথা।
৯. জোড় থেকে কিছু ভাঙা বা ফুটবার আওয়াজ পাওয়া।
১০. খুঁড়িয়ে চলা (গ্রন্থিবাত যখন অনেকটা পুরানো হয়েছে)। আপনি বুঝতে পারবেন না যে খুঁড়িয়ে চলেছেন, কিন্তু অন্যরা তা লক্ষ্য করবেন।
১১. সাধারণ জ্বর। (জ্বর সংক্রান্ত আগের পোস্ট টি দেখে নিন।)
১২. পরিমিত ঘুম না হওয়া।
ব্যাথার কবল থেকে বাঁচার উপায় বা ডাক্তারি চিকিৎসা (Arthritis treatment in Bengali/ Arthritis medicine in Bengali)
এই রোগের কোন স্থায়ী উপশম নেই। একেবারে নির্মূল করে দেওয়ার মত কোনো চিকিৎসা নেই। কিন্তু সঠিক ভাবে দেখভাল করতে পারলে কার্যকর ভাবে ব্যথা কম করা যেতে পারে । এবং এর সাথে যুক্ত অন্যান্য ঝুঁকিগুলিও কমে যাবে। তবে রোগের প্রকোপ যাতে দেরিতে দেখা দেয়, সেই চেষ্টা করা যেতে পারে। ব্যথার ওষুধ, ফিজিওথেরাপি আর শরীরচর্চাই একমাত্র উপায় (Arthritis treatment in Bengali)। কিন্তু যদি ছোটবেলা থেকে কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে ব্যাথার যন্ত্রনা সহ্য করতে হবে না।
১. কোথাও ব্যথা পেলে, তৎক্ষণাৎ তার যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে।
২. আজ যে শিশু জন্মগ্রহণ করবে, তাকে যাতে পরবর্তীকালে অস্টিও-আর্থরাইটিসে ভুগতে না হয়। তার জন্য আগাম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে অভিভাবকদের।
৩. ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওজন বেশি হওয়া মানেই আগামীদিনে খুব শীঘ্রই হাঁটুর ব্যথায় ভুগতে হবে। মাঝবয়সের আগেই ওজন বেশি থাকলে তা কমিয়ে ফেলা উচিত। কারণ হাঁটুর ব্যথায় এমনিতেই শারীরিক কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। তখন ওজন কমানো যায় না।
৪. ব্লাড সুগার, থাইরয়েডের মত রোগ শরীরে থাকলে ওষুধ খেয়ে তা বশে রাখা উচিত।
৫. জুতোর সঙ্গে কিন্তু কোমর-হাঁটুর ব্যথার সম্পর্ক আছে। চেষ্টা করুন সঠিক মাপের, ভাল মানের জুতো পরার। জুতো কেনার সময় নজর রাখুন, নরম কুশন-যুক্ত সোল-এর দিকে। শক্ত জুতোয় পায়ে ব্যথা বাড়ে।
৬. সুস্থ জীবনধারার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে হবে শিশুটিকে। পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি তাকে দিতে হবে।
৭. খাবারের তালিকায় রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল। ব্রকোলি, গাজর, বিনস্, অঙ্কুরিত ছোলা খান বেশি পরিমাণে। দুধ সহ্য হলে রোজ খেতে পারেন, না হলে ছানা খান। ডিম খান নিয়মিত। এতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম-এর ঘাটতি পূরণ হবে।
৮. যখন একবার ব্যথা হবে তখনই সাবধান হয়ে যেতে হবে। প্রাথমিক ভাবে যা মেনে চলবেন – হাঁটু মুড়ে না বসা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা যথাসম্ভব কম করা যায়, প্রয়োজন না থাকলে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে না থাকা।
আর্থারাইটিস থেকে বাঁচার জন্য রইলো কিছু ঘরোয়া প্রতিকার । যেগুলো মেনে চলতে পারলে ব্যাথা থেকে উপশম পাবেন (Arthritis treatment in Bengali/ Arthritis medicine in Bengali)
১. খালি পায়ে হাঁটুন:
এই কথা টা শুনে কি অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এটাই বাস্তব। শিকাগোর রাস ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সেন্টারের প্রকাশিত একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় দেখা গিয়েছে ৭৫ শতাংশ মানুষ অস্টিও-আর্থারাইটিসে ভোগেন। বাত এবং পেশির ব্যথা কমানোর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল খালি পায়ে হাঁটুন (Arthritis treatment in Bengali)। এতে ব্যথা প্রায় ৬৫ শতাংশ কমে যাবে।
২. সাঁতার কাটুন:
বাতের ব্যথায় সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম সাঁতার। জলের মধ্যে ভারশূন্যতা পেশীর চাপ কমিয়ে দেয়। সাঁতার হাঁটু এবং নিতম্বের জোর বাড়ায়। শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ব্যথা অনেক কমিয়ে দেয়।
৩. গাজর-লেবুর মিশ্রণ:
দু’টো মাঝারি মাপের গাজরের রস করে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবং সেটি খালি পেটে খেয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণ খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই গাঁটের ব্যথায় উপকার পাওয়া যাবে।
৪. নিজের হাতে বাসন ধোবেন:
হাসির কথা হলেও এটা এক ধরনের ব্যায়াম। হাতের ব্যথায় নাকাল হচ্ছেন? আজ থেকেই নিজের হাতে বাসন ধুতে শুরু করুন। অদ্ভুত লাগলেও, এই পদ্ধতিতে আপনার হাতের ব্যায়াম হবে। আরও ভাল হয় যদি, উষ্ণ গরম জলে এই কাজ করেন। এতে হাতের জড়তা অনেক কেটে যাবে।
৫. ঠান্ডা-গরম সেঁক:
গরম জল ‘হট -ওয়াটার ব্যাগ’ -এ করে ব্যথার জায়গায় ৫ মিনিট সেঁক দিন। জায়গাটা গরম হয়ে উঠলে সেখানে বরফ ঘষে মালিশ করুন। এই পদ্ধতিতে মোটামুটি ৩০ মিনিট গরম-ঠান্ডা সেঁক দিন। দেখবেন, গাঁটের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
৬. ভিটামিন সি:
পেশি ব্যথা কমাতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। কমলালেবু, আঙুরে প্রচুর ভিটামিল সি রয়েছে। ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে, যা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে।
৭. হলুদ আর আদার মিশ্রণ (Arthritis medicine in Bengali):
২ কাপ জলের সঙ্গে হলুদ আর আদা ফুটিয়ে নিন। গরমে ফুটে যখন মোটামুটি আধ-কাপের মতো হয়ে যাবে তখন সেটিকে আঁচ থেকে নামিয়ে হলুদ-আদার ওই মিশ্রণে ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। দিনে অন্তত বার দুয়েক করে এই দ্রবন খেতে পারলে পেইন কিলার ছাড়াই গাঁটের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
৮. বাদাম:
আখরোট, পেস্তা, আমন্ড বাদামে রয়েছে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন-ই এ ফাইবার। অস্টিওআর্থারাইটিস এবং রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস কমাতে বাদাম খুব উপকারি।
৯. লঙ্কা গুঁড়ো আর নারকেল তেলের মিশ্রণ (Arthritis medicine in Bengali):
চিকিত্সকদের মতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে ক্যাপসাইসিন অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। লাল লঙ্কাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এই ক্যাপসাইসিন। আধ-কাপ নারকেল তেলে ২ চামচ লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় অন্তত ২০ মিনিট মালিশ করুন। এর পর উষ্ণ জলে জায়গাটা ভাল করে পরিষ্কার করে ফেলুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই পদ্ধতিতে মালিশ করলে গাঁটের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
১০. গরম-ঠাণ্ডা জলে চিকিৎসা:
চট জলদি বাতের ব্যথা কমাতে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী। এর জন্য একটা পাত্রে বরফ দেওয়া ঠাণ্ডা জল ও অন্য পাত্রে গরম জল নিন। প্রথমে ঠাণ্ডা জলে ১ মিনিট ব্যথার জায়গা ডুবিয়ে রাখুন। পরে গরম জলে ৩০ সেকেন্ড। এই ভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে এই প্রক্রিয়া চালান। অনেক আরাম পাবেন।
১১. নুন জলের সেঁক:
এপসম সল্ট বা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সমৃদ্ধ সৈন্ধব নুন যে কোনও ব্যথা-বেদনার উপশমে অত্যন্ত কার্যকরী। ছোট এক কাপ সৈন্ধব লবন জলের মধ্যে গুলে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার সেটা ফুটিয়ে ব্যথার জায়গায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে সেঁক দিন। এই ভাবে নিয়মিত সেঁক দিলে গাঁটের ব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যেতে পারে।
১২. গ্রিন টি:
কেস ওয়েস্টার্ন রিসার্ভ ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনে চার কাপ গ্রিন টি বাতের ব্যথা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। এই চায়ের মধ্যে রয়েছে, পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ব্যথা ও পেশি বাত, অস্টিও-আর্থারাইটিস কমাতে সাহায্য করে।
১৩. মেথি:
যে কোনও জ্বালা-যন্ত্রণা দ্রুত কমাতে মেথি অত্যন্ত কার্যকরী। গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পেলে নিয়মিত সামান্য উষ্ণ জলে মেথি ভিজিয়ে খেয়ে দেখুন। সারা রাত এক গ্লাস জলে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ওই মেথি ভেজানো জল খেলেও গাঁটের ব্যথায় উপকার পাওয়া যেতে পারে।
১৪. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড:
রুই, টুনা, স্যামন মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড পেশির শক্তি বাড়ায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, সপ্তাহে খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণ টাটকা মাছ রাখুন। এতে পেশি ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমবে।
১৫. আদা চা:
ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। চিন্তা নেই। জলে আদা কুচি, চা পাতা দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে ফুটিয়ে সেই চা পান করুন। দুধ দিয়েও আদা চা করে খেতে পারেন। সাময়িক ভাবে ব্যথার থেকে রেহাই পাবেন। এ ক্ষেত্রে জিনজার টি-ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন।
১৬. পিপারমিন্ট আর ইউক্যালিপটাস তেল (Arthritis medicine in Bengali):
ব্যথা নিরাময়ের ক্ষেত্রে পিপারমিন্ট এবং ইউক্যালিপটাস তেলের জুড়ি মেলা ভার! ৫-৬ ফোঁটা পিপারমিন্ট আর ইউক্যালিপটাস তেলের সঙ্গে নারকেল, ওলিভ বা আমন্ড তেল মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় নিয়মিত মালিশ করলে গাঁটের ব্যথায় দ্রুত আরাম পাবেন।
১৭. জাঙ্ক ফুড একদম নয়:
যে কোনও রকম ভাজাভুজি, জাঙ্ক ফুড বা প্যাকেট জাত খাবার এড়িয়ে চলুন। সম্প্রতি এক সুইডিস গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা মশলাদার খাবার ছেড়ে বেশি পরিমাণে টাটকা সবজি, ফলমূল, মাছ, অলিভ তেল খান, তাদের বাত হওয়ার প্রবণতা অনেক কম।
উল্লেখ্য, নিজের ইচ্ছামতো কোনও ব্যথার ওষুধ বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শেই ওষুধ খান।
==========
Subscribe and Join Our Telegram Group
Follow & Like us on Facebook
Download Nursing Knowledge Apps
Thank you bhai
Welcome Bro
MOUTH ULCER (মুখের ঘা) TREATMENT IN BENGALI